ব্যাগ প্যাকিং এর ক খ গ

Spread the love

ভ্রমণ করতে ভালোবাসে না এই রকম খুব কম মানুষই পাওয়া যায় সমাজে। এই ইট পাথের নগরীতে আমরা যখনই সুযোগ পাই তখনি পরিবার-পরিজন বন্ধু বা নিজে একাই ছুটে যাই দূর-দূরান্তে প্রকৃতির টানে প্রকৃতির আপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আমি যখনই ছুটি পাই ঘুরতে যাই। আর আমার  ভ্রমণের সবচেয়ে গুরুতবপূর্ণ বস্তুটি হল আমার ব্যাগ প্যাক । আমার মতে যে কোন ভ্রমণ তখনি সুন্দর ও সার্থক হয় যখন আপনার প্রস্তুতি ভালো হয়। আর তাঁর জন্য দরকার সঠিক ব্যাগ প্যাকিং । আমি যখন ওয়াইল্ডারনেস এওয়ারনেস স্কুল এ অনলাইন কোর্স করি তখন তারা আমাকে শিক্ষায় যে কোন ভ্রমণে ব্যাগ প্যাকিং গুরুত্ব কত বেশী। কারণ আপানার প্রতিটি ভ্রমণের প্রকৃতি ও ধরণ বুঝে আপনার ব্যাগ প্যাকিং করতে হবে। তা না হলে আপনার ভ্রমণে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। আজকে আপানাদের সাথে যে কোন সাধারণ ট্যুরের জন্য কি ধরনের ব্যাগ প্যাকিং প্রয়োজন তা নিয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।

ব্যাগ-

যে কোন ট্যুরে আপনি কি ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করবেন তা নিয়ে আমি কোন মন্তব্য বা উদাহরণ দিব না । কারণ ব্যাগ নির্বাচন আপনার উপর ছেড়ে দিলাম। আপনি আপনার সুবিধা ও আরাম অনুযায়ী ব্যাগ নির্বাচন করবেন ও ব্যবহার করবেন। তবে মনে রাখাবেন আপনার ব্যাগ প্যাকিং অব্যশই যাতে কাঁধের ব্যাগ হয় অথবা একাধিক ব্যাগ ব্যবহার করেন যদি তাহলে যাতে কাঁধের ব্যাগ সাথে থাকে।  আর কাঁধের ব্যাগের অব্যশই সাইড পকেট থাকে পানি বোতল ও ছাতা নেওয়ার জন্য।

ব্যাগ প্রাকিং এর অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী-

০১। পানির বোতল ।

০২। ছাতা

০৩। গামছাঃ

আমরা অনেকই টাওয়াল পছন্দ করি। আপনি টাওয়াল ব্যবহার করতে পারেন , কিন্তু আপনার ব্যাগে টাওয়ালের পাশাপাশি অব্যশই একটা গামছা রাখবেন। গামছা ব্যবহারের উপকারিতা অনেক। আমি গামছা বললাম কেন বিদেশীরা ব্যান্ডানা বা স্ক্রাফ ব্যবহার করে। আমরা বাঙ্গালী তাই আমি গামছার কথা বললাম।

০৪। পাওয়ার ব্যাংক ও মোবাইল চার্জার

– তবে আমার একটা অনুরোধ থাকবে যারা একদিন অথবা দুইদিনের জন্য ট্যাঁরে যাচ্ছেন তারা মোবাইল চার্জার সাথে না নিলে ভালো হয়। তাঁর কারণ ( বিশেষ করে ছেলেরা অনেক সময় তা ভুলে ফেলে রেখে আসে বা হারিয়ে ফেলে )। ২০০০০ এম এইচ ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাংক দুইদিনের জন্য মোবাইল চার্জের জন্য যথেষ্ঠ । আমাদের দেশে ৪০০০- ৫০০০ এম এইচ ব্যাটারি মোবাইল ফোনই বেশী তা। এর ২০০০০  এম এইচ ব্যাটারির পাওয়ার দিয়ে আপনি অনায়াসে তিন বার চার্জ দিতে পারবেন।

০৫। ছোট সিঙ্গেল চাদর।

০৬। বাটন ফোন

০৭। মিনি ফাস্ট এইড কিট

০৮। ইমার্জেন্সি মেডিসিনঃ

জ্বর, ব্যাথা, পাতলা পায়খানা, গ্যাসের সমস্যা জনিত ওষুধ ইত্যাদি। এছাড়া আপনি যদি অন্য কোন রোগে আক্রান্ত থাকেন তাঁর প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ।

০৮। মিনি প্যাক শ্যাম্পু, সাবান, ব্রাশ, পেস্ট

৯। ইমার্জেন্সি ফুডঃ

 অল্প পরিমাণে – খেজুর, কাঠ বাদাম, চকলেট বার, মিনি বিস্কুটের প্যাকেট ইত্যাদি

১০। রাবারের স্যান্ডেল

১১। ছোট র্টচ

১২। পলিথিন

১৩। ব্যাগ জন্য রেইন কাভার

১৪।  কাটার নাইফ

১৫। কাগজ ও কলম

এই ১৫ টি জিনিস অতি প্রয়োজনীয়। চেষ্ঠা করবেন আপনি আপনার প্রতিটি ভ্রমণে আপানর ব্যাগ প্যাকিং এই জিনিস গুলো যাতে আগে নেওয়া হয়।

এছাড়া ভ্রমণের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাপড়, জুতা ও অন্যান্য আপনার ব্যক্তিগত সামগ্রী। আপনি আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস আপনার ভ্রনমনের স্থান, সময় ও কত দিন থাকবেন তাঁর উপর নির্ধারণ করে নির্বাচন করবেন । তবে সবার কাছে একটাই অনুরোধ অতি বেশী জিনিস নিয়ে ভ্রমনের যাওয়ার চেষ্ঠা করবেন না কারণ বেশী ব্যাগ হলে আপনারই কষ্ট হবে।

বিশেষ বিশেষ স্থানের জন্য ছেলেদের জন্য বিশেষ অনুরোধ আপনরা ব্যাগে একটা লুঙ্গি রাখবেন।

যারা ছবি তুলেন বা ব্লগ করেন তারা অব্যশই আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল লজিস্টিক্স সাথে নিয়ে যাবেন।

লেখকঃ এইচ আর স্বাধীন


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *